মানকি পক্স ভাইরাস -MPV
ইতিমধ্যেই এটি এখন ইউরোপের অনেক গুলো দেশে ছড়িয়ে পড়ছে।
এটি কি ধরনের রোগ?
ভয় নেই।এটি আতংকিত হওয়ার মত মারাত্মক রোগ নয়।
১. মানকি পক্স ভাইরাস একটি ভাইরাস জনিত রোগ। এটা হয় ভাইরাস দ্বারা।
২. সাধারণত গ্রীষ্ম মন্ডলীয় রেইনফরেস্ট অঞ্চল, আফ্রিকা অঞ্চলে এই রোগ বেশি দেখা যায়।
৩. এই ভাইরাস শরীরে ঢোকার ৫ থেকে ২১ দিনের মধ্যে লক্ষন প্রকাশ পায়।
আফ্রিকার কঙ্গ তে ১৯৭০ সালে এই রোগ প্রথম দেখা যায়।
যেভাবে ছড়ায়ঃ
এই রোগ টি পশু থেকে মানুষে সংক্রমণের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে,
এই রোগটি বহনকারী প্রাণীর সংস্পর্শে থাকা ব্যক্তিদের মধ্যেই এটি ঘটে।
রোগজীবাণু বহনকারী প্রাণী গুলো হচ্ছে বাদর, ইদুর ও অন্য প্রানী।
মানকি পক্স ভাইরাস এর প্রাদুর্ভাব মধ্য ও পশ্চিম আফ্রিকার গ্রীষ্মমন্ডলীয় রেইনফরেস্ট, বিশেষ করে কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রে বেশি।
এই ভাইরাসের মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমণের ঝুঁকি কম, তবে খুব ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ থাকলে হতে পারে।
লক্ষন গুলো কিকি--
ক) প্রথম ৫--১৪ দিন- জ্বর, মাথা ব্যাথা, মাংস পেশীগুলোতে ব্যাথা, শারীরিক ভাবে দুর্বল, লিম্ফ নোড বা গ্লান্ড ফুলে যায়।
খ) ১৪ দিন পর ফুসকুড়ি ওঠা শুরু হয় শরীরের যে কোন জায়গায়।
গ) ১৪দিন বা তারপর রেশ বের হয় সমস্ত শরীরে।ফুসকুরি গুলো দেখতে পানি বসন্তের মত।
চিকিৎসা
ক) এর কোনো ঔষধ বা টিকা আবিষ্কার হয় নি। সাধারনত এটা এমনিতেই সেরে যায়।
খ) জটিল বা মারাত্মক মনে হলে একজন বিশেষজ্ঞ ডাঃ এর পরামর্শ বা রোগীকে হাসপাতালে নিতে হবে
গ) ২১ দিন পর লক্ষ্মণ গুলো এমনিতেই ভাল হয়।
ঘ) তবে শিশুদের হলে এটি খুব মারাত্মক হতে পারে এমনকি মৃত্যুও হতে পারে।আফ্রিকায় এই রোগে আক্রান্তদের মধ্যে ১০% মারা গেছে।
প্রতিরোধের উপায় ও সাবধানতা-
ক) পশুর সংস্পর্শে থাকেন এবং শরীরে মারাত্মক ফুসকুড়ি ও জ্বর থাকলে এই রোগ সন্দেহ করতে হবে।
খ) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, নৌবন্দর ও স্থল বন্দর গুলোতে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।
আফ্রিকার দেশ গুলো থেকে এই রকম লক্ষন নিয়ে যদি কেউ আসে তাহলে তাকে ২--৩ সপ্তাহ বন্দরেই কোয়ারেন্টেনে রাখতে হবে।
1 Comments
Amaging fact!
ReplyDelete