ফাইব্রোসিস্টিক ব্রেস্ট কি ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়?ব্রেস্ট বা স্তন ব্যথার কারণ। ফাইব্রোসিস্টিক ব্রেস্ট (fibrocystic breast)কারণ ও চিকিৎসা

    






ফাইব্রোসিস্টিক ব্রেস্ট বলে একটা অবস্থা আছে, যখন স্তনে ব্যথার পাশাপাশি চাকাও অনুভূত হয়। ৩০ থেকে ৫০ বছর বয়সী নারীরা এই সমস্যায় বেশি ভোগেন।





কারণ, স্তনের টিস্যুগুলো সাধারণত কিছু কিছু হরমোন দিয়ে নিয়ন্ত্রিত হয়। যেমন ইস্ট্রোজেন ও প্রজেস্টেরন, যেগুলো সাধারণত ওভারি থেকে আসে এবং থাইরয়েড হরমোন, যা থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে আসে। 





গ্রোথ হরমোন, প্রোলাকটিন, ইনসুলিন হরমোনের প্রভাবও আছে স্তনের ওপর। যারা ফাইব্রোসিস্টিক ব্রেস্ট সমস্যায় ভোগেন, তাঁদের স্তনের টিস্যুগুলো এসব হরমোনের প্রতি বেশি সংবেদনশীল। স্তনের ওপর হরমোনের প্রভাব বেড়ে এবং টক্সিন খুব বেশি জমে গেলেও এ ধরনের সমস্যা হতে পারে।





ফাইব্রোসিস্টিক ব্রেস্ট লক্ষণ ও উপসর্গগুলি কি কি?







ফাইব্রোসিস্টিক স্তনের উপসর্গগুলি 



মাসিক চলাকালীন বা তার ঠিক আগে হরমোনের পরিবর্তনের কারণে আরো বেশী করে দেখা যায়। এই উপসর্গগুলির মধ্যে আছে:


স্তনে ব্যথা 



স্তনে নরম ভাব যা স্পর্শ করলে অনুভব করা যায়


স্তন ভারী বা স্ফীত অনুভব করা



স্তনে পিন্ডের উপস্থিতি



স্তনবৃন্ত থেকে তরল নির্গত হওয়া


মাসিকের পূর্বে স্তনের ব্যথা বৃদ্ধি পাওয়া


স্তনে অনুভূত হওয়া পিন্ডটি নরম ও রবারের মতো বোধ হয়। স্পর্শ করলে, মনে হয় সেগুলো যেন একটু সরে সরে যাচ্ছে। 


মাসিকের পূর্বে এই পিন্ডগুলি আকারে একটু বড় হয়ে যেতে পারে।




ফাইব্রোসিস্টিক ব্রেস্ট Vs ব্রেস্ট ক্যান্সার





ফাইব্রোসিস্টিক স্তনের উপস্থিতি কোনভাবেই একজন মহিলার স্তনের ক্যান্সারের ঝুঁকিকে বাড়ায় না। এই ফাইব্রোসিস্টিক স্তনের পরিবর্তন হওয়া ক্ষতিহীন এবং এর জন্য যে অস্বস্তি অনুভূত হয় তার চিকিৎসা করা যেতে পারে।







চিকিৎসা




Tab naprosyn plus


১+০+১........১০ দিন

Cap primacap 500mg


১+০+১........৩ মাস


Cap danazol 100mg


১+০+১........৩ মাস



Cap E cap 200mg

১+০+১.........৩ মাস



Cap maxpro 20 mg


১+০+১..........১০ দিন




উপযুক্ত আকারের ব্রা পড়া যেটি স্তনকে ভালভাবে সাপোর্ট দেয়






ব্যথা কমার জন্য গরম সেঁক দেওয়া




প্রদাহজনক নয় এমন ধরণের খাবার খাওয়া




ঘরোয়া সমাধান




প্রিমরোজ তেল: 


ইভিনিং প্রিমরোজ তেলে কিছু প্রয়োজনীয় ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। যেটা অটোইমিউন ইনফ্লেমেশন কমাতে সাহায্য করে। ফলে ব্যথা কমে যায়। এটা মুখে খাওয়া যায় বা ব্যবহারও করা যায়।




তিসির তেল:


 তিসির তেল শরীরে ইস্ট্রোজেন হরমোনের লেভেল কমিয়ে দিতে পারে। ফলে ফ্লাইবেসিস্টিক ব্রেস্টের প্রভাব (ব্যথা) কমে যায়।




ভিটামিন ই:


 যেসব নারী ভিটামিন ই খান, তাঁদের ৮৫ থেকে ৯০ শতাংশেরই সিস্টের আকার কমে ব্যথা কমে যায়।




খাবারে চর্বি বা ফ্যাট কমানো: 


চর্বি বা ফ্যাট স্তনের টিস্যুগুলোর ঘনত্ব বাড়িয়ে দেয়। প্রতিদিনের যে পরিমাণ ক্যালরি দরকার, তাতে চর্বির পরিমাণ ২০ শতাংশে থাকা উচিত।




ধূমপান স্তনের ব্যথার একটি কারণ। তাই ধূমপান একেবারেই করা যাবে না।



Post a Comment

2 Comments