জ্বর ও সাধারন ব্যথার চিকিৎসা/মাঝারি থেকে তীব্র ব্যথার চিকিৎসা/এইস-Ace/এসিট্রাম - Acetram/ট্রামাডল-Tramadol/এনাডল-Anadol/এনরিল - Anril/ক্লোফেনাক - Clofenac

 

জ্বর ও সাধারন ব্যথায়







এইস্- Ace



উপাদান : প্যারাসিটামল। ৫০০ মি.গ্রা. ট্যাবলেট, ৬৬৫ মি.গ্রা. এক্সটেন্ডেড রিলিজ ট্যাবলেট ১২০ মি.গ্রা./ ৫ মি.লি. সিরাপ, ১২০ মি.গ্রা./৫ মি.লি. সাসপেনশন, ৮০ মি.গ্রা./মি.লি. পেডিয়াট্রিক ড্রপস্ এবং ৬০, ১২৫, ২৫০ ও ৫০০ মি.গ্রা. সাপোজিটরি।

নির্দেশনা :

জ্বর, সর্দিজ্বর এবং ইনফ্লুয়েঞ্জা। মাথাব্যথা, দাঁত ব্যথা, কানের ব্যথা, শরীর ব্যথা, স্নায়ু প্রদাহ জনিত ব্যথা, ঋতুস্রাব জনিত ব্যথা এবং মচকে যাওয়ার ব্যথা। অন্ত্রে ব্যথা, কোমরে ব্যথা, অস্ত্রোপচার পরবর্তী ব্যথা, প্রসব-পরবর্তী ব্যথা, ক্যান্সার জনিত দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা, প্রদাহ জনিত ব্যথা ও শিশুদের টিকা দেবার পরের জ্বর ও ব্যথা। বাত ও অষ্টিওআর্থ্রাইটিস এর দরুণ সৃষ্ট ব্যথা ও অস্থিসংযোগ সমূহের অনমনীয়তা।

 মাত্রা ও ব্যবহার বিধি :

 ট্যাবলেট :

প্রাপ্ত বয়স্ক : ১-২ টি ট্যাবলেট ৪-৬ ঘন্টা পর পর দিনে সর্বোচ্চ ৮ টি ট্যাবলেট। শিশু (৬-১২ বছর) : আধা থেকে ১টি দিনে ৩-৪ বার।

 সিরাপ এবং সাসপেনশন :

 শিশু

(৩ মাসের নীচে) : ১০ মি.গ্রা. হিসাবে (জন্ডিস থাকলে ৫ মি.গ্রা. হিসাবে) দিনে ৩-৪ বার। ৩ মাস - ১ বছরের নীচে : ১/২ থেকে ১ চা চামচ দিনে ৩-৪ বার। ১-৫ বছর : ১-২ চা চামচ দিনে ৩-৪ বার। ৬-১২ বছর : ২-৪ চা চামচ দিনে ৩-৪ বার।

 প্রাপ্তবয়স্ক:

৪-৮ চা চামচ দিনে ৩-৪ বার।

এক্স আর ট্যাবলেট :

২ টি করে ট্যাবলেট দিনে ৩ বার।

 সাপোজিটরি :


৩ মাস- ১ বছরের নীচে : ৬০-১২০ মি.গ্রা. দিনে ৪ বার। ১-৫ বছর : ১২৫-২৫০ মি.গ্রা. দিনে ৪ বার। ৬-১২ বছর বয়সের শিশুদের জন্য : ২৫০-৫০০ মি.গ্রা. দিনে ৪ বার। প্রাপ্ত বয়স্ক ও ১২ বছরের বেশী বয়সের শিশুদের জন্য : ০.৫-১ গ্রাম দিনে ৪ বার।

পেডিয়াট্রিক ড্রপস্ :

শিশু :

৩ মাস বয়স পর্যন্ত : ০.৫ মি.লি. (৪০ মি.গ্রা.), দিনে ৪ বার। ৪-১১ মাস বয়স পর্যন্ত : ১ মি.লি. (৮০ মি.গ্রা.), দিনে ৪ বার। ১-২ বছর বয়স পর্যন্ত : ১.৫ মি.লি. (১২০ মি.গ্রা.), দিনে ৪ বার।

সতর্কতা

ও যেসব ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না : প্যারাসিটামলের প্রতি অতি সংবেদনশীলতা। গর্ভাবস্থা ও স্তন্যদানকালে ব্যবহার : সর্বক্ষেত্রে ব্যবহার করা নিরাপদ।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া :

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই বললেই চলে। তবে কোন কোন ক্ষেত্রে হিমাটোলজিক্যাল প্রতিক্রিয়া, অগ্নাশয়ের প্রদাহ, চামড়ায় ফুসকুড়ি ও অন্যান্য এলার্জি দেখা দিতে পারে।

 সরবরাহ :


এইস্ ট্যাবলেট:৫০ x ১০ টি।
এইস্ এক্স আর ট্যাবলেট : ১০ x ১০ টি।
এইস্ সিরাপ : ৬০ মি.লি. এবং ১০০ মি.লি.।
এইস্সা সপেনশন : ৬০ মি.লি.।
এইস্ পেডিয়াট্রিক ড্রপ : ১৫ মি.লি ও ৩০ মি.লি।
এইস্ ৬০ সাপোজিটরি : ২ x ৫ টি।
এইস্ ১২৫ সাপোজিটরি : ৪ x ৫ টি।
এইস্২৫০ সাপোজিটরি : ৪ x ৫ টি।
এইস৫০০ সাপোজিটরি : ৪ x ৫ টি।


 উপাদান :

প্যারাসিটামল ৫০০ মি.গ্রা. এবং ক্যাফেইন ৬৫ মি.গ্রা./ ট্যাবলেট।

নির্দেশনা :

জ্বর, মাথা ব্যথা, মাইগ্রেইন, মাংসপেশীর ব্যথা, পিঠে ব্যথা, দাঁত ব্যথা এবং ঋতুস্রাব জনিত ব্যথা।

 মাত্রা ও ব্যবহার বিধি :

১-২ টি ট্যাবলেট ৬ ঘন্টা পর পর। দিনে সর্বোচ্চ ৮ টি ট্যাবলেট। ১২ বছরের নীচে শিশুদের ক্ষেত্রে অনুমোদিত নয়।

 পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া :

নিউট্রোপেনিয়া, গ্যাস্ট্রো ইন্টেসটাইনাল সমস্যা ইত্যাদি।

 অন্য ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া :

এটা ক্লোরামফেনিকল এবং কুমারিনের রক্ত জমাট বিরোধী গুন বাড়িয়ে দেয়। অ্যালকোহল সেবনকারী অথবা যে সমস্ত রোগী খিঁচুনীর ওষুধ সেবন করছেন তাদের ক্ষেত্রে প্যারাসিটামলের মাধ্যমে যকৃতে বিষক্রিয়া তৈরীর ঝুঁকি বাড়তে পারে।

 গর্ভাবস্থা ও স্তন্যদানকালে ব্যবহার :

প্যারাসিটামল গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে নিরাপদ সত্ত্বেও ব্যবহারের পূর্বে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত।

 সরবরাহ :

এইস্ প্লাস ট্যাবলেট : ২০ x ১০ টি।



 এসিট্রাম - Acetram

 নির্দেশনা:

এসিট্রাম ট্যাবলেট: প্যারাসিটামল বি.পি. ৩২৫ মি.গ্রা.এবং ট্রামাডল হাইড্রোক্লোরাইড বি.পি. ৩৭.৫ মি.গ্রা.।

 নির্দেশনা :

এসিট্রাম ট্যাবলেট মাঝারী এবং মাঝারী থেকে তীব্র ব্যথায় প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে নির্দেশিত। এসিট্রাম ট্যাবলেট তীব্র ব্যথার মেয়াদী (৫ দিন অথবা এর কম) চিকিৎসায়ও নির্দেশিত।

 মাত্রা এবং সেবনবিধি :

এসিট্রাম খাবারের আগে বা পরে যেকোন সময় সেবন করা যেতে পারে। মাঝারী অথবা মাঝারী থেকে তীব্র ব্যথায় ১-২টি ট্যাবলেট প্রতি ৪ অথবা ৬ ঘন্টা পর পর এবং দিনে সর্বোচ্চ ৮টি ট্যাবলেট সেবন করা যায়। তীব্র ব্যথায় স্বল্প মেয়াদী (৫ দিন অথবা এর কম) চিকিৎসায় ২টি ট্যাবলেট প্রতি ৪ অথবা ৬ ঘন্টা পর পর (দিনে সর্বোচ্চ ৮টি ট্যাবলেট) সেবন করা যায়।

প্রতি নির্দেশনা :

ট্রামাডল, প্যারাসিটামল অথবা এ ওষুধের অন্য যে কোন উপাদান বা অপিয়ড -এর প্রতি সংবেদনশীল রোগীকে এ ওষুধটি দেয়া উচিত নয়। যে সকল ক্ষেত্রে অপিয়ড প্রতিনির্দেশিত, সেসব ক্ষেত্রে এ ওষুধটিও প্রতিনির্দেশিত।

 সতর্কতা :

এটি গাড়ী চালানো অথবা মেশিন পরিচালনার মত জটিল কাজ করতে যে পরিমান মানসিক ও শারীরিক দক্ষতার প্রয়োজন হয় তার ব্যঘাত ঘটাতে পারে। এই ওষুধটি অ্যালকোহলযুক্ত কোমল পানীয়র সাথে সেবন করা উচিত নয়। অন্যান্য ট্রামাডল অথবা প্যারাসিটামল যুক্ত ওষুধের সাথে এবং OTC ওষুধের সাথে একত্রে এই ওষুধটি সেবন করা উচিত নয়। ট্রানকুলাইজার, হিপনোটিকস অথবা অন্যান্য অপিয়ড এনালজেসিক এর সাথে সেবন করার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।

 শিশু এবং বয়স্কদের ক্ষেত্রে ব্যবহার :

শিশুদের ক্ষেত্রে এ ওষুধটির নিরাপত্তা ও কার্যকারিতা এখনো নিরীক্ষা করা হয়নি। সাধারণত বয়স্কদের ক্ষেত্রে মাত্রা নির্ধারণে সতর্ক হওয়া উচিত। সমসাময়িক অন্য রোগ এবং এ সকল রোগের বিবিধ চিকিৎসার কারণে যকৃত, কিডনি অথবা হৃদপিন্ডের কাযর্কারিতা হঠাৎ করে কমে যাওয়ার সম্ভাবনার উপর পর্যালোচনা করে মাত্রা নির্ধারণ করা উচিত।v

 বৃক্ক সংক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে ব্যবহার :

এসিট্রামTM বৃক্কের সমস্যাজনিত রোগীদের ক্ষেত্রে নিরীক্ষিত নয়। যে সকল রোগীদের ক্রিয়েটিনিন ক্লিয়ারেন্স ৩০ মি.লি./ মিনিট এর কম তাদের ক্ষেত্রে দুটি মাত্রার মধ্যবর্তী সময় বাড়াতে হবে এবং খেয়াল রাখতে হবে যেন প্রতি ১২ ঘন্টায় ২টি ট্যাবলেটের বেশি না হয়। যকৃতের সমস্যায় আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে : এসিট্রাম™ যকৃতের সমস্যাগ্রস্থ রোগীদের উপর নিরীক্ষিত নয়। তাই এর ব্যবহার এ ধরনের রোগীদের ক্ষেত্রে নির্দেশিত নয়।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া :

এসিট্রাম™ সেবনে নিম্নলিখিত পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে: এসথেনিয়া, অবসন্নতা, হটফ্লাস, ঝিঁমুনি, মাথাব্যথা, কাঁপুনি, পেটব্যাথা, কোষ্টকাঠিন্য, ডায়রিয়া, পেট ফাঁপা, মুখগহ্বরের শুষ্কতা, বমি, এনোরেক্সিয়া, উৎকন্ঠা, দ্বিধা, ইউফোরিয়া, র্নিঘূমতা, বিচলতা, সোমনোলেন্স, পু্ররাইটাস, র্যাশ, অতিরিক্ত ঘাম ইত্যাদি।

গর্ভবস্থায় ও স্তন্যদানকালে ব্যবহার :

প্রেগনেন্সি ক্যাটাগরি-সি। গর্ভবতী মহিলাদের উপর এখনো কোন পর্যাপ্ত এবং সুনিয়ন্ত্রিত তথ্য পাওয়া যায়নি। কেবল ভ্রূনের ক্ষতির ঝুকির তুলনায় চিকিৎসায় মায়ের উপকারের পরিমান অতিমাত্রায় বিবেচিত হলে, কেবলমাত্র সে ক্ষেত্রেই গর্ভাবস্থায় এ ওষুধটি ব্যবহার করা যেতে পারে। যেহেতু নবজাতক এবং ইনফেন্টদের উপর এ ওষুধটির নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠিত নয়, তাই অবসটেট্রিক্যাল প্রি-অপারেটিভ মেডিকেশন এবং ডেলিভারী পরবর্তী এনালজেসিক হিসেবে নার্সিং মায়েদের ক্ষেত্রে এ ওষুধটি নির্দেশিত নয়।

 সরবরাহ :

প্রতি বাক্সে আছে ৩০টি ট্যাবলেট ব্লিস্টার প্যাক -এ।




মাঝারি থেকে তীব্র ব্যথা



 ট্রামাডল-Tramadol



উপাদান : ট্রামাডল হাইড্রোক্লোরাইড বিপি। ৫০ মি.গ্রা. ক্যাপসুল, ১০০ মি.গ্রা. এস আর ক্যাপসুল, ১০০ মি.গ্রা./২ মি.লি. ইঞ্জেকশন, ৫০ মি.গ্রা./মি.লি. ইঞ্জেকশন এবং ১০০ মি.গ্রা. সাপোজিটরি

 নির্দেশনা :
 মাঝারি থেকে তীব্র ব্যথাজনিত উপসর্গসমূহে এ্যানাডল কার্যকরভাবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। উপসর্গসমূহ নিম্নরূপঃ
অস্ত্রপচার পরবর্তী ব্যথা।
কলিক ও স্পাসটিক ব্যথা।
ক্যান্সারের ব্যথা।
সনিড়বহিত সংযুক্তি সংক্রান্ত ব্যথা।
ঘাড় ও পিঠের ব্যথা উপসর্গজনিত ব্যথা।
অষ্টিওপোরোসিস এর উপসর্গজনিত ব্যথা।

মাত্রা ও ব্যবহারবিধি : 
এ্যানাডল ক্যাপসুল: স্বাভাবিক সেবনমাত্রা ৫০-১০০ মি.গ্রা. প্রতি চার থেকে ছয় ঘন্টা অন্তর। তীব্র ব্যথার (Acute) ক্ষেত্রে প্রারম্ভিক মাত্রা ১০০ মি.গ্রা. প্রয়োজন। ক্রনিক ব্যথার (Chronic pain) ক্ষেত্রে ৫০ মি.গ্রা. প্রারম্ভিক মাত্রা নির্দেশিত।

পরবর্তী মাত্রাসমূহ ৫০-১০০ মি.গ্রা. প্রতি চার থেকে ছয় ঘন্টা অন্তর। ব্যথার তীব্রতার উপর ভিত্তি করে কি মাত্রার ও কতবার প্রয়োগ করতে হবে তা নির্ধারিত হয়ে থাকে। মুখে ব্যবহারের ক্ষেত্রে দৈনিক সর্বোচ্চ মাত্রা ৪০০ মি.গ্রা. এর বেশী হওয়া উচিত নয়।

 এ্যানাডল  এসআর ক্যাপসুলঃ
 একটি এস আর ক্যাপসুল ১২ ঘন্টা অন্তর। ব্যথার তীব্রতার উপর ভিত্তি করে কি মাত্রার প্রয়োগ করতে হবে তা নির্ধারিত হয়ে থাকে। তবে তা ১২ ঘন্টার কম ব্যবধানে ব্যবহার করা উচিত নয়। দৈনিক সর্বোচ্চ মাত্রা ৪০০ মি.গ্রা. এর বেশি হওয়া উচিত নয়।

 এ্যানাডল  ইঞ্জেকশনঃ 
প্রতি চার থেকে ছয় ঘন্টা পরপর ৫০-১০০ মি.গ্রা. মাত্রায় আইএম ও আইভি ২-৩ মিনিট ব্যপী অথবা ইনফিউশনের মাধ্যমে দেয়া যেতে পারে। অস্ত্রোপচারোত্তর ব্যথার চিকিৎসায় প্রারম্ভিক মাত্রা হিসেবে ১০০ মি.গ্রা. ব্যবহার করতে হবে যা ১০-২০ মিনিট অন্তর অন্তর ৫০ মি.গ্রা. মাত্রার ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে প্রথম ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২৫০ মি.গ্রা. পর্যন্ত দেয়া যেতে পারে। দৈনিক সর্বোচ্চ মাত্রা ৫০-১০০ মি.গ্রা. প্রতি চার থেকে ছয় ঘণ্টা হিসেবে ৬০০ মি.গ্রা. পর্যন্ত।

 এ্যানাডল সাপোজিটরিঃ 
এ্যানাডল সাপোজিটরি পায়ূপথে ব্যবহার্য। প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে স্বাভাবিক মাত্রা হচ্ছে ১০০ মি.গ্রা. ট্রামাডল হাইড্রোক্লোরাইড ছয় ঘণ্টা অন্তর। সাধারণভাবে দৈনিক ৪০০ মি.গ্রা. ট্রামাডল হাইড্রোক্লোরাইড (৪টি এ্যানাডল সাপোজিটরি) যথেষ্ট। তবে ক্যান্সার এর ব্যথায় এবং অস্ত্রোপচারে পরবর্তী ব্যথায় আরও অধিক মাত্রায় ব্যবহার করা যেতে পারে।

 সতর্কতা ও যেসব ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না :

 ট্রামাডলের প্রতি অতি সংবেদনশীল রোগীদের ক্ষেত্রে এটি ব্যবহার করা যাবে না। এ ছাড়াও এলকোহল জনিত বিষক্রিয়া, হিপনোটিক, কেন্দ্রিয়ভাবে কার্যম ব্যথানাশক ওষুধ, অপয়েড অথবা সাইকোট্রোপিক ওষুধ সমূহের সাথেও ট্রামাডল ব্যবহার করা যাবে না।

শ্বাস - প্রশ্বাসের হার কমে যাওয়াঃ

যখন কোন অবশকারী ওষুধ অথবা এলকোহলের সাথে ট্রামাডল অধিক মাত্রায় ব্যবহার করা হয় তখন শ্বাস-প্রশ্বাসের হার কমে যেতে পারে। অপয়েড নির্ভরশীলতাঃ অপয়েড ওষুধ সমূহের উপর নির্ভরশীল রোগীদের ক্ষেত্রে ট্রামাডল নির্দেশিত নয়।

স্নায়ূতন্ত্রীয় নিস্তেজকারক এর সাথে ব্যবহারঃ স্নায়ূতন্ত্রীয় ডিপ্রেসেণ্ট যেমন এলকোহল, অপয়েড, এনেসথেটিক, ফেনোথায়াজিন. ট্রাঙ্কুলাইজার ও সিডেটিভ হিপনোটিক এর সাথে ব্যবহারের ক্ষেত্রে ট্রামাডল সতর্কতার সাথে ব্যবহার করা উচিত।

 পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া :
 সাধারণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব, কোষ্ঠ্যকাঠিন্য, মাথা ব্যথা, একাকিত্ব, বমি হওয়া, ফুসকুড়ি, স্নায়ুবিক উত্তেজনা, দূর্বলতা ইত্যাদি। কদাচিৎ সংঘটিত প্রতিক্রিয়াগুলো হচ্ছে- অসুস্থ বোধ হওয়া, এলার্জি বিক্রিয়া, ওজনহীনতা, রক্তনালীর প্রসারণ, পেটে ব্যথা,ক্ষুধামন্দা ইত্যাদি।

অন্য ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া :
 সাধারণভাবে ট্রামাডলের সাথে অন্য ওষুধের পারষ্পরিক বিক্রিয়া নিয়ে সতর্ক করার তেমন প্রয়োজন নেই। মনোএমাইন অক্সিডেজ ইনহিবিটরস-ই একমাত্র ওষুধ যা ট্রামাডলের সাথে ব্যবহারের জন্য নির্দেশিত নয়। কার্বামাজেপিন ও ট্রামাডল একত্রে ব্যবহার করলে ট্রামাডলের বিপাকক্রিয়া উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে পারে যার ফলে ট্রামাডলের মাত্রা বৃদ্ধি করার প্রয়োজন হতে পারে।

 গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে ব্যবহার :

গর্ভাবস্থায় ট্রামাডলের ব্যবহারের নিরাপত্তা এখনও প্রতিষ্ঠিত হয়নি। ট্রামাডল পাসেন্টা ভেদ করতে পারে। সুতরাং একান্ত অপরিহার্য না হলে গর্ভাবস্থায় ট্রামাডল ব্যবহার না করাই শ্রেয়। মাতৃদুগ্ধে নিঃসৃত হয় বলে দুগ্ধদানকারী মায়েদের ট্রামাডল হাইড্রোক্লোরাইড গ্রহণ করা উচিত নয়।

 সরবরাহ :

এ্যানাডল ৫০ ক্যাপসুল: প্রতি বাক্সে আছে ৪০ টি ক্যাপসুল।
এ্যানাডল১০০ এস আর ক্যাপসুল: প্রতি বাক্সে আছে ৩০টি ক্যাপসুল।
এ্যানাডল ১০০ ইঞ্জেকশন: প্রতি বাক্সে আছে ১০ টি এ্যাম্পুল।
এ্যানাডল ১০০ সাপোজিটরি: প্রতি বাক্সে ২০ টি সাপোজিটরি।

এনরিল - Anril



 উপাদান : 
নাইট্রোগ্লিসারিন ইউএসপি ০.৫ মি.গ্রা. সাবলি ঙ্গুয়েল ট্যাবলেট এবং নাইট্রোগ্লিসারিন ইউএসপি ২.৬ মি.গ্রা. সাসটেইনড রিলিজ ট্যাবলেট।

 নির্দেশনা :
 এনরিল ০.৫ ট্যাবলেট: এটি এনজিনা জনিত ব্যথা উপশম অথবা করোনারী আর্টারী ডিজিজ জনিত এনজিনা পেকটোরিস এর প্রতিষেধকমূলক চিকিৎসায় নির্দেশিত।

এনরিল TM এস আর ট্যাবলেট: এটি ক্রণিক স্ট্যাবল এনজিনা পেকটোরিস এর প্রতিষেধকমূলক চিকিৎসায় নির্দেশিত।

 মাত্রা ও ব্যবহারবিধি :

এনরিল০.৫ ট্যাবলেট: এনজিনা অ্যাটাকের প্রথম লক্ষণের সাথে সাথে ১টি ট্যাবলেট জিহ্বার নীচে দিতে হবে। ব্যথা উপশম না হওয়া পর্যন্ত প্রতি ৫ মিনিট অন্তর একই মাত্রায় পুনরাবৃত্তি করা যেতে পারে।

যদি ১৫ মিনিট ধরে ৩টি ট্যাবলেট গ্রহণ করার পরেও ব্যথা বজায় থাকে তাহলে তাৎক্ষণিক হাসপাতালে ভর্তির জন্য পরামর্শ দেয়া যেতে পারে।

এনরিলএস আর ট্যাবলেট: প্রত্যেক রোগীর প্রয়োজনীয়তা অনুসারে ওষুধের মাত্রা নির্ধারণ যোগ্য কিন্তু সাধারণত ১-২টি ট্যাবলেট দিনে ৩ বার দেয়া যেতে পারে।

প্রতিনির্দেশনা ও সতর্কতা :

মায়োকার্ডিয়াল ইনফারকশন, তীব্র রক্তস্বল্পতা, বর্ধিত ইন্ট্রাক্রেনিয়াল চাপ এবং যাদের নাইট্রোগ্লিসারিন এর প্রতি অতি সংবেদনশীলতা আছে তাদের জন্য প্রতিনির্দেশিত।

যেসব রোগীদের রক্তসল্পতা, স্নায়ুরোগ, সেরেব্রাল হেমোরেজ, ক্লোজড এঙ্গেল গ্লুকোমা, নাইট্রেটস এর প্রতি সংবেদনশীলতা, নিম্ন রক্তচাপ, হাইপো-ভলেমিয়া, হাইপারট্রপিক অবসট্রাকটিভ কার্ডিওমায়োপেথি, অ্যাওর্টিক স্টেনোসিস, কার্ডিয়াক টেম্পোনেড, কনস্ট্রিকটিভ পেরিকার্ডাইটিস এবং অর্থোস্ট্যাটিক ডিসফাংশন আছে তাদের নাইট্রোগ্লিসারিন ব্যবহার করা উচিত নয়। যেসব রোগী সিলডেনাফিল সাইট্রেট গ্রহণ করছে তাদের ক্ষেত্রে এটি প্রতিনির্দেশিত।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া : মুখমন্ডলে রক্তিমাভাব, মাথাব্যথা, মাথাঘোরানো এবং অবস্থানগত নিম্ন রক্তচাপ যা রিফেক্স ট্যাকিকার্ডিয়া অথবা প্যারাডক্সিকাল ব্র্যাডিকার্ডিয়ার কারণে সংঘটিত হয়।

অন্য ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া : এন্টি-হাইপারটেনসিভ, বিটা-ব্লকার অথবা ফেনোথায়াজিনস এবং নাইট্রেটস গ্রহণকারী রোগীদের ক্ষেত্রে সংযোজিত নিম্ন রক্তচাপ দেখা দিতে পারে। ক্যালসিয়াম চ্যানেল ব্লকার নাইট্রেটস এক সাথে ব্যবহার করা হলে অর্থোস্ট্যাটিক নিম্ন রক্তচাপ হতে পারে।

নাইট্রেটস এবং এলকোহল একসাথে গ্রহণ করলেও নিম্ন রক্তচাপ দেখা দিতে পারে। নাইট্রোগ্লিসারিন এর ভ্যাসোডায়ালেটরী এবং হেমোডায়নামিক প্রভাব এসপিরিন গ্রহণের সাথে বৃদ্ধি পেতে পারে। যে সব রোগী সাব-লিঙ্গুয়েল নাইট্রোগ্লিসারিন গ্রহণ করছে তাদেরকে আর্গোটামিন এবং আর্গোটামিন জাতীয় ওষুধ গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে হবে অথবা আর্গোটিজম এর লক্ষণগুলো পর্যবেক্ষণ করতে হবে।

গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে ব্যবহার : গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে নাইট্রোগ্লিসারিন এর নিরাপত্তার কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া গর্ভাবস্থা ও স্তন্যদানকারী মায়েদের নাইট্রোগ্লিসারিন দেয়া উচিত হবে না। মাতৃদুগ্ধে নাইট্রোগ্লিসারিন নিঃসৃত হয় কিনা তা জানা যায়নি।

 শিশুদের ক্ষেত্রে ব্যবহার : শিশুদের জন্য নির্দেশিত নয়।

সরবরাহ : এনরিল ০.৫ ট্যাবলেট: প্রতিটি বাক্সে আছে ৩০ টি সাব-লিঙ্গুয়েল ট্যাবলেট।

এনরিল TM এস আর ট্যাবলেট: প্রতিটি বাক্সে আছে ৫০ টি সাসটেইনড রিলিজড ট্যাবলেট।

 ক্লোফেনাক - Clofenac



⍟⍟ উপাদান : ডাইক্লোফেনাক সোডিয়াম ২৫ও ৫০ মি.গ্রা. ট্যাবলেট। ডাইক্লোফেনাক সোডিয়াম ১০০ মি.গ্রা.এস.আর ট্যাবলেট ও টি.আর ক্যাপসুল। ডাইক্লোফেনাক ফ্রি এসিড ৪৬.৫০ মি.গ্রা. ট্যাবলেট। ডাইক্লোফেনাক সোডিয়াম ৭৫ মি.গ্রা./৩ মি.লি. ইঞ্জেকশন। ডাইক্লোফেনাক সোডিয়াম ৭৫ মি.গ্রা. এবং লিডোকেইন হাইড্রোক্লোরাইড ২০ মি.গ্রা./২ মি.লি. প্লাস ইঞ্জেকশন। ডাইক্লোফেনাক সোডিয়াম ১০ মি.গ্রা./গ্রাম জেল এবং ইমালজেল। ডাইক্লোফেনাক সোডিয়াম ১২.৫, ২৫,৫০ এবং ১০০ মি.গ্রা. মি.গ্রা সাপোজিটরি।

⍟⍟ নির্দেশনা : রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, অস্টিওআর্থ্রাইটিস, কোমরে ব্যথা এবং অন্যান্য পেশী ও অস্থি সংশ্লিষ্ট ব্যথা যেমন টেন্ডিনাইটিস, টেনোসাইনোভাইটিস, বারসাইটিস, মোচড়, টান পড়া, অস্থিসন্ধি সরে যাওয়া, এনকাইলোসিং স্পন্ডিলাইটিস, বাতের তীব্র ব্যথা, দাঁতের ও অন্যান্য মৃদু ধরণের শৈল্য চিকিৎসার ব্যথা ও প্রদাহ নিয়ন্ত্রণে ক্লোফেনাক® নির্দেশিত।

⍟⍟ মাত্রা ও ব্যবহার বিধি :

ক্লোফেনাক ২৫ মি.গ্রা. ও ৫০ মি.গ্রা. এন্টারিক কোটেড ট্যাবলেট:

প্রাপ্ত বয়স্কদের মাত্রা: প্রতিদিন ৭৫-১৫০ মি.গ্রা., ২-৩ টি বিভক্ত মাত্রায় সেব্য। খাবারের পর গ্রহণ করাই শ্রেয়। দীর্ঘদিন ব্যবহারের ক্ষেত্রে মাত্রা কমিয়ে দেয়া উচিৎ।

ক্লোফেনাক এসআর ট্যাবলেট ও ক্লোফেনাক® ১০০ টি আর ক্যাপসুল :

দিনে একটি ট্যাবলেট, প্রচুর পরিমাণ তরলের সাথে খাবারের সাথে গ্রহণ করা শ্রেয়। প্রয়োজনবোধে সাধারণ ট্যাবলেটের সাহায্যে দৈনিক মাত্রা ১৫০ মি.গ্রা. পর্যন্ত ব্যবহার করা যেতে পারে।

⍟⍟ ক্লোফেনাক ডিটি: প্রাপ্তবয়স্কদের মাত্রা : দৈনিক ২-৩ ট্যাবলেট সেব্য এবং দৈনিক সর্বোচ্চ মাত্রা ১৫০ মি.গ্রা.। ক্লোফেনাক® ডিটি খাবারের পূর্বে ব্যবহার করাই শ্রেয়। অন্যান্য রোগের মৃদু প্রকোপে ২ টি ক্লোফেনাক ডিটি ট্যাবলেট সেবনই যথেষ্ট।

ক্লোফেনাক ইঞ্জেকশন/ক্লোফেনাক প্লাস ইঞ্জেকশন:

প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে: দিনে একটি এ্যাম্পুল (মারাত্মক অবস্থায় দিনে ২টি) পেশিতে ব্যবহার্য। রেনাল কলিক: দিনে একটি এ্যাম্পুল পেশীতে ব্যবহার্য। ৩০ মিনিট পরে আরও একটি এ্যাম্পুল ব্যবহার করা যেতে পারে। যে কোন পথে ডাইকোফেনাকের দৈনিক সর্বোচ্চ মাত্রা ১৫০ মি.গ্রা.। মাত্রা ও সেবনবিধি (শিরা পথে প্রয়োগের ক্ষেত্রে) শিরা পথে প্রয়োগ করার পূর্বে ০.৯% সোডিয়াম ক্লোরাইড অথবা ৫% গ্লুকোজের সাথে ১০০-৫০০ মি.লি. এর লঘু দ্রবণ তেরী করতে হবে। উভয় দ্রবণকে ৭.৫% এর ০.৫ মি.লি. বাফার দ্রবণ বানাতে হবে।

⍟ নির্দেশনা :

১। মাঝারী থেকে তীব্র ব্যথায় (অস্ত্রোপাচার পরবর্তী) ৭৫ মি.গ্রা. ৩০ মিনিট থেকে ২ ঘন্টা ধরে শিরা পথে প্রয়োগ করতে হবে। ইহা ৪ থেকে ৬ ঘন্টা পর পর পূনরাবৃত্তি করা যাবে। তবে যেকোন ২৪ ঘন্টার মধ্যে মাত্রা ১৫০ মি.গ্রা. অতিক্রম করা যাবে না।

২। অস্ত্রোপাচার পরবর্তী ব্যথা প্রতিরোধে: অস্ত্রোপাচার এর পরে ২৫ থেকে ৫০ মি.গ্রা. শিরাপথে প্রয়োগ করতে হবে ১৫ মিনিট থেকে ১ ঘন্টার মধ্যে। পরবর্তীতে প্রতি ঘন্টায় ৫ মি.গ্রা. করে দৈনিক সর্বোচ্চ ১৫০ মি.গ্রা. পর্যন্ত প্রয়োগ করা যেতে পারে।

⍟⍟ ক্লোফেনাক জেল : ক্লোফেনাক জেল ত্বকে মৃদুভাবে ঘষে ব্যবহার করা হয়। আক্রান্ত জায়গার আয়তনানুসারে ২-৪ গ্রাম ক্লোফেনাক® জেল দিনে ৩-৪ বার ব্যবহার করা যেতে পারে। ব্যবহারের পর আক্রান্ত জায়গা ব্যতীত হাত ভালভাবে ধুয়ে ফেলা উচিৎ। বৃদ্ধদের ক্ষেত্রে: প্রাপ্তবয়স্ক মাত্রায় ব্যবহার্য।

⍟ ক্লাফেনাক ইমালজেল এর মাত্রা:

ক্লোফেনাক সাপোজিটরি : প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে: ২৫ মি.গ্রা. , ৫০ মি.গ্রা. বা ১০০ মি.গ্রা. সাপোজিটরি, দিনে ৭৫-১৫০ মি.গ্রা. বিভক্ত মাত্রায় ব্যবহার্য।

শিশুদের ক্ষেত্রে: ১২.৫ মি.গ্রা. অথবা ২৫ মি.গ্রা. সাপোজিটরি দিনে প্রতি কেজি দৈহিক ওজনের জন্য ১-৩ মি.গ্রা. করে বিভক্ত মাত্রায় ব্যবহার্য। দিনে ১৫০ মি.গ্রা. এর বেশী ডাইক্লোফেনাক সোডিয়াম ব্যবহার করা যাবে না।

⍟⍟ সতর্কতা ও যেসব ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না : ডাইক্লোফেনাক-এর প্রতি সংবেদনশীলতা, সক্রিয় অথবা সম্ভাব্য পেপটিক আলসার, পরিপাকতন্ত্রের রক্তক্ষরণ ইত্যাদি ক্ষেত্রে দেয়া যাবে না। যে সমস্ত রোগীর এসপিরিন অথবা যে সকল ওষুধের প্রোষ্টাগানডিন সিনথেটেস এর বাধাদান করার কার্যক্ষমতা থাকার জন্য হাঁপানী, আর্টিকারিয়া অথবা একিউট রাইনাইটিস এর তীব্রতা বাড়ে, সে সমস্ত রোগীদের ক্ষেত্রে ক্লোফেনাক® দেয়া যাবে না।

⍟ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া : বিভিন্ন পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ার মধ্যে আছে পরিপাকনালীর অস্বস্তি, পরিপাকতন্ত্রের রক্তক্ষরণ, পেপটিক আলসার, ইত্যাদি।

⍟ অন্য ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া : লিথিয়াম, ডিগক্সিন, এন্টিকোয়াগুলেন্ট, এন্টিডায়াবেটিক, সাইক্লোস্পোরিন, মিথোট্রেক্সেট ইত্যাদি।

⍟ গর্ভাবস্থা ও স্তন্যদানকালে ব্যবহার : গর্ভাবস্থায় সেবনযোগ্য নয়। তথাপি অন্য কোন উপায় না থাকলে কেবল মাত্র তখনই ডাইক্লোফেনাক সেব্য। ডাইক্লোফেনাক ৫০ মি.গ্রা. ৮ ঘন্টা অন্তর সেবন করলে ডাইক্লোফেনাক এর সক্রিয় উপাদান মাতৃদুগ্ধে প্রবেশ করে, কিন্তু প্রবেশ মাত্রা এতই সামান্য যে কোনরূপ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় না।

⍟ সরবরাহ :

ক্লোফেনাক ২৫ ট্যাবলেট : ১০ x ১০ টি।
ক্লোফেনাক ৫০ ট্যাবলেট : ২০ x ১০ টি।
ক্লোফেনাক ডিটি : ৫ x ১০ টি।
ক্লোফেনাক এস আর ট্যাবলেট : ১০ x ১০ টি।
ক্লোফেনাক ১০০ টি আর ক্যাপসুল : ৫ x ১০ টি।
ক্লোফেনাক ইঞ্জেকশন : ৫ x ২ টি।
ক্লোফেনাক প্লাস ইঞ্জেকশন : ২ x ৫ টি।
ক্লোফেনাক ১% জেল : ১০ গ্রাম টিউব।
ক্লোফেনাক ইমালজেল : ২০ গ্রাম টিউব।
ক্লোফেনাক ১২.৫ সাপোজিটরি : ২ x ৫ টি।
ক্লোফেনাক ২৫ সাপোজিটরি : ৩ x ৫ টি।
ক্লোফেনাক ৫০ সাপোজিটরি : ৪ x ৫ টি।



Post a Comment

0 Comments